কয়েকজন সাদা মানুষ (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-৪)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:২০:২১ সকাল
শনির আখড়া ক্রস করে সুজনের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে।
জিনিসের নেশাটা আবার চেগিয়ে উঠলো। এখন ট্রেনের ভিতর সেই টয়লেট ছাড়া আর কোনো যায়গা নাই।
আর টয়লেটে যেয়ে এই জিনিস খাওয়া!
তা ও আমাদের দেশের রেলওয়ের টয়লেটে?
মনটাকে অন্য দিকে ডাইভার্ট করে নিতে হবে। আর বেশী সময় নাই ঢাকা পৌঁছাতে। কিছুটা অতীত রোমন্থন করলে কেমন হয়? দুই বগির সংযোগ স্থানে গিয়ে চোরের মত একটা সিগ্রেট ধরালো খালিদ।
বন্ধুদের সাথে ওর ভার্সিটি থেকে বের হবার পর অনেকদিন যোগাযোগ ছিল না। সবাই যে যার মত জীবনকে গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত। খালিদ কিছুদিন বোহেমিয়ান জীবনযাপন করলো। নেশায় ভেসে ভেসে বেড়ানো আর কি।
একদিন বাড়িতে পরিবারের সবার সামনে বসতে হল। বাবা জিজ্ঞেস করলেন সরাসরি, 'এভাবে আর কত দিন?' মামা বললেন, 'মাস্টার্স পাস করে এভাবে ভ্যাগাবন্ড ই যদি হবে, এতোগুলো বছর নস্ট করা কেন?' উত্তরে খালিদ বললো যে জব পাওয়া কি এতো সহজ। রাগে মামা বললেন, 'তাহলে কাগজের ঠোঙ্গা (প্যাকেট) বানা বসে বসে। তাও কিছু টাকা আয় করবি।'
সেদিন রাগ করে সবার সামনে থেকে সে চলে এলো। বটতলি থেকে ২০০ টাকার জিনিস কিনে সব গুলো সিগ্রেটে ভরে নিয়ে সি,আর,পি’র পাশের এক টিলায় উঠে বসলো। যাবার সময় ছিন্নমুল একটাকে সাথে নিলো। ওর নাম কাজল। প্রায় সময় এই নেশাখোরটা স্টেশনে ঘুরাফিরা করে। মাঝে মাঝে তামাক পাওয়া না গেলে ও কিভাবে যেন ম্যানেজ করে।
দুজনে বসে একটার পর একটা স্টিক খেয়েই যাচ্ছে। এক সময় কাজল জিজ্ঞেস করে-
: বস, আজ কেমন যেন লাগতাছে আপনারে।
: কেমন লাগছে?
: এই যেমন ভাউরা ভাউরা।
: এটা আবার কেমন লাগা?
: ভাউরা হল আপনি এখানে কিন্তু মন অন্য যায়গায়। এতোগুলা স্টিক খাইলেন, একটা গানও তো গাইলেন না।
: তুই ঠিক কইছস। মনটা ভাল নাই। কাজ কাম জোগাড় করা দরকার।
: কি কাজ করতে চান?
: আমি একটা ঠোংগা বানানোর প্রজেক্ট করতে চাই।
: মানে কাগজের ঠোংগা?
: হ্যা।
: কোনো অসুবিধা নাই। সব ম্যানেজ করা যাবে।
কাজলকে সাথে রাখার এই এক সুবিধা। যে কোনো কাজ ওর কাছে অসম্ভব মনে হয় না। অনেকে আছে এমনিতেগই বলে যে পারবো। কেউ চক্ষু লজ্জায় না বলে না। কিন্তু কাজলের কথা তাদের থেকে ভিন্ন। সে তার কথা রাখার চেষ্টা করে একেবারে আখেরি পর্যায় পর্যন্ত। আজও এই ঠোংগা বানানোর কথা বলাতে একটুও অবাক হল না। আসলে জীবন কাজলের সাথে এতো এতো অবাক করা মজা করেছে যে, এখন অবাক হবার ক্ষমতাই ওর নাই। আছে শুধু হৃদয়ের ভিতরে প্রচন্ড ক্ষোভ। তবে এরই ফাঁকে কিছু কিছু মানুষের জন্য ওখানে সেই পরিমানে ভালোবাসাও রয়ে গেছে। খালিদ তাদের ভিতরে একজন।
কাজল ওকে হালিশর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের দক্ষিণ পাশের এক বস্তিতে নিয়ে গেলো।
ঠোংগা বুড়ির বাসায়।
এক বুড়ি আছে যে সারা দিন কাগজের ঠোংগা বানায়। তার বাসায় খালিদ ১ ঘন্টা সময় দিলো। কাজল কোত্থেকে একটা কলকি জোগাড় করে আনলো। সাদা পাতা দিয়ে তামাক সুন্দর করে বানালো। এরপর নারিকেলের ছোবরা গোল করে বানিয়ে একটা রিক্সার স্পোকে ঢুকিয়ে কুপি জ্বালিয়ে সেটা পুড়তে দিলো। খালিদের অবৈধ এই জিনিস গুলো দেখতে খুব ভালো লাগলো। যদিও মনের ভিতরে কোথায় যেন এই ঘৃণ্য নেশার কাজটি ছাড়তে না পারায় এক ধরণের কষ্ট এবং হীনমন্যতা কাজ করে চলেছে।
এই যে এক বস্তির রুমে সে বসে আছে। এক বুড়ি তার পাশে বসে ঠোংগা বানাচ্ছে। সারা ঘরময় পিস করে খবরের কাগজ পরে আছে। ভাঙ্গারির কাছ থেকে পাইকারি দরে বাতিল খাতা কিনে নেয়া হয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বুড়ি ওকে সব তথ্য দিল। কল্কিতে দম দিতে দিতে খালিদ সব তথ্য নিজের মনের ভিতর সেভ করে নিলো। এর পরে ভাড়ে করে কাজলের দেয়া চা খেয়ে বুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলো।
রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে অনেক চিন্তা করল।
ফাইনাল ডিসিশন নিল টয়লেটে বসে।
ওর জীবনের অনেক গুরুত্তপুর্ণ সিদ্ধান্ত খালিদ টয়লেটে বসেই নিয়েছে। জীবিকা হিসাবে শেষ পর্যন্ত ঠোংগা বানানোকে সে বেছে নিবে। কয়েকজন ছিন্নমুল মানুষের কাজের ব্যবস্থাও হবে, ওর নিজেরও একটা গতি হবে।
সব থেকে মজা হবে শায়লা যখন জানবে।
সেই কবে থেকে শায়লা বলে আসছে ওকে দেখতে আসছে। বাবা মা বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। তবে খালিদ এর কোনো জব না থাকায় সেও বাবা মাকে ওর কথা বলতে পারছে না। এখন যদি শোনে সে এই বিজনেস করবে...
টয়লেটে বসে একা একা হেসে উঠলো খালিদ।
হাসি আর থামে ই না। তবে গলা খাকারির শব্দে সে বাস্তবে ফিরে এলো।
ওর পাশের যাত্রী অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। পাশের আরো কয়েকজনও বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে ছিলো। খালিদ তাকাতেই সবাই মুখ ঘুরিয়ে নিলো। আসলে সিগারেট খেয়ে সে নিজের অজান্তেই ওর সীটে এসে বসেছিল। তারপর অতীতের সোনালী পাতা উল্টাতে এতো বেশী মগ্ন ছিল যে আশপাশের কারো কথা মনে ছিলো না।
একটু গম্ভীর ভাব নিয়ে বসে থাকলো খালিদ।
মনের ভিতর হাসির রেশ রয়ে ই গেল...
… … …
সিএনজি টা ৪৫০ টাকায় ঠিক করে নিয়েছিলো।
হেলাল চলার পথে বাসকে সবসময় এড়িয়ে চলে। কেন জানি ভালো লাগে না। মনে হয় বাসের ভীড় এবং পথে বিভিন্ন স্টপেজে থামে এজন্যই হয়ত। দু’পাশের জীবনযাত্রাকে বেগে ছাড়িয়ে যাওয়ার ভিতরে এক ধরণের থ্রীল খুজে পায় হেলাল। একবারই থামতে চায় সে এই জীবনে।
লুকিং গ্লাসে ড্রাইভারটা বার বার ওকে দেখছিল। কিছু বলবে কিনা ভাবল।
ধুর।
ও ব্যাটা যদি দেখে মজা পায় পাক না। ক্ষতি কি।
সুজনের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। লাস্ট আপডেট জানাবার পর এখন এই ফার্মগেট ছাড়ালো। আজ ৫ দিন হলো সে শেভ করে নি। ঘামে আর রাস্তার বালিতে দাড়ি চুলকাচ্ছে। একটা সেলুনে গিয়ে আগে কি শেভ করে নিবে নাকি? সামনেই একটা সেলুন দেখা যাচ্ছে।
ড্রাইভারকে কিছু বখশিস দেবার কথা বলে রাজী করালো।
তেমন ভীড় নেই সেলুনটাতে। প্রত্যেক সেলুনের মতোই এটার ও অবস্থা। এখন ভিতরের ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই, যারা চুল কাটছে তারা কোন ধর্মের অনুসারী। কয়েকজন মুসলিম সাধকদের মাজারের ছবির সাথে হিন্দু সাধকগনও রয়েছেন। কিছু নীতিকথা ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে। মাঝারি সাউন্ডে হিন্দী গান বাজছে। এটা একটু ব্যতিক্রম লাগলো। আজকাল প্রায় সব সেলুনে টিভিতে ডিশের লাইন দেয়া থাকে। নাপিতেরা কাটানোর ফাঁকে ফাঁকে তাদের কিংবা কাস্টোমারের ইচ্ছানুযায়ী রিমোট চাপাচাপি করে।
খবরের কাগজ হাতে একজন চেয়ার ছেড়ে অন্য পাশের বেঞ্চে গিয়ে বসলো। এ রকম কিছু পাবলিক থাকে যারা সেলুনে কাস্টোমারের চেয়ারে বসে বসে পেপার পড়ে থাকে। খোঁজ নিলে জানা যায়, ওনারা হয় এলাকার বড় ভাই অথবা টো টো কোম্পানীর ম্যানেজার টাইপের কেউ। একজন চুল কাটাচ্ছেন।
আয়নার ভিতর দিয়ে যে চুল কাটাচ্ছে, সে একবার হেলালকে একটু নিরাসক্ত দৃষ্টিতে দেখলো। ওই একবারই। এরপর চোখ ফিরিয়ে নিয়ে আরামে চোখ বুজল।তার আরাম দেখে হেলালেরও ঘুম আসতে লাগলো। সেভ করা হয়ে গেলে ওরও মাথা ম্যাসেজ করে দিতে বলল নাপিতকে।
গভীর ঘুম আসছে। নাপিত ব্যাটাও বখশিসের লোভে ওকে বিভিন্ন কায়দায় আরাম দেবার চেষ্টা করে যেতে থাকে।আর একই সাথে হেলালও তলিয়ে যেতে থাকে...
আরো ৮ বছর আগে ফিরে যায়।
ভার্সিটির পাঠ চুকিয়ে জীবনযুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।এমন সময় বাবা মারা যায়। ছোট দু’টি বোন ও মায়ের সমস্ত দায়িত্ব ওর উপর এসে পড়ে। তখন এলাকায় কিছু ছাত্রদের বাড়ী গিয়ে পড়ানো শুরু করে। কিছুদিন যেতে না যেতে ওর অনেক নামডাক হয়ে যায় এই শিক্ষা বিক্রীর ব্যবসায়। তারপর ব্যাচে ওর নিজের বাড়িতেই শুরু করে এই ব্যবসা। এরই অবসরে ল’কলেজে ও ভর্তি হয়ে যায়।
এভাবে দুটি বছর কেটে যায়। বৃদ্ধা মা আরো বৃদ্ধ হন। বোনেদের বড় জন বিয়ের উপযুক্ত হয়। আর নিজের কথা? সে তো এমন এক অবস্থায় ছিল তখন, নিজের বিয়ের কথা ভাবা সম্ভবই না। বোনের জন্য ছেলে দেখতে থাকে।
ল’ পাশ করে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায়ও ভালো করে।
এবার ডিসিশন নেবার পালা।
পাথরঘাটার এক প্রত্যন্ত এলাকায় পড়ে থাকলে ল’ পাশ করে কি করা যাবে। ভালো পসার পেতে চাইলে বিভাগীয় কোনো শহরে একজন সিনিয়রের আন্ডারে কাজ করতে হবে। এদিকে মা ও বোনদেরকেও সাথে নিয়ে সে এই মুহুর্তে যেতে পারছে না। আবার এভাবে রেখেও যেতে পারছে না।
শেষে বরগুনা শহরে সেখানের এক পরিচিত সিনিয়রের আন্ডারে কাজ করার সুযোগ পেলো। প্রতিদিন বাড়ী থেকেই যাওয়া-আসা করতে পারবে। সাথে প্রাইভেটটা টিউশনও একেবারে বন্ধ করে দিলো না। রাতে করে নিলো সময়।
এভাবে এক কঠিন পরিশ্রমের ভিতর দিয়ে হেলালের দিন যেতে থাকলো।
হুমায়রার সাথে একদিন কোর্টেই পরিচয়। নতুন পাশ করে অন্য আর এক সিনিয়রের সাথে কাজ করছে সে। চেহারা সুন্দর। প্রথম দর্শনেই ভালো লাগার মত। হেলালেরও ভালো লাগলো। তবে সরাসরি ভালোবাসায় পরিনত হলো না।
একদিন চা খাবার অফার করলো মেয়েটি। এই অজ পাড়া শহরে চা’ই বেশী চলে। এমন একটা শহর, সবাই- ই প্রায় সবাইকে চিনে।
হুমায়রা মেয়েটি খুব বাস্তববাদী। ক্লায়েন্টদের সাথে টাকা ছাড়া কোনো কথা ই বলে না। হেলাল ভেবে পায় না, আপাতদৃষ্টিতে সুন্দর এই মেয়েটি মক্কেলদের সাথে কীভাবে এতটা রুক্ষ ও কঠিন হতে পারে। তখন একটু খারাপ লাগে ওর।
যেমন লেগেছিলো হেলালের সিনিয়রের প্রথম দিনের কথায়।
তিনি ওকে বলেছিলেন : 'আমার রুমে ঢোকার সাথে সাথে তোমার ভিতরের যত ভালো গুণ আছে তা ফেলে দিয়ে আসতে হবে। এখানে প্রতি মুহুর্তে মিথ্যার চর্চা করবে। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার জন্য যা কিছু দরকার করতে হবে। টাকাটাই বড় মনে করবে। মক্কেলকে ভালোবাসবে। ওরা আমাদের জন্য লক্ষ্মী কিন্ত পাওনা টাকার বেলায় গলায় পা দিয়ে টাকা নিতে ও পিছু হটবে না।'
একটু থেমে ওর দিকে তাকালেন। কিছু যেন খুঁজলেন ওর মুখে।
আরো বললেন : 'আমাকে কি এখন পিশাচের মত মনে হচ্ছে? এটাই মনে করবে এবং নিজেও এটায় পরিণত হবে। এই কোর্ট কোনো ভালো যায়গা না। এখানে প্রতি মুহুর্তে ঘুষ ও মিথ্যা গলায় গলায় মিশে চলে।'
এর পর তার কথামত চলে চলে আজ সত্যিই এক টাকার খাক্কষে পরিণত হয়েছে হেলাল।
হুমায়রাতো আগেই খাক্কষ ছিলো।
একসময় দুজনের ই দুজনকে পছন্দ হল। ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখলো।
বোনের বিয়েটা দিতে পারলেই...
আর এক নতুন ট্রেইনি ঊকিলের সাথে বোনটার দিয়ে দেয়া হল। হুমায়রাই আগ্রহ ভরে সব কাজ সুন্দরভাবে মিটিয়ে নিতে ওকে হেল্প করলো।
ছোট বোনের বিয়ের এখনো অনেক দেরী দেখে ওদের দুজনের বিয়েটাও হয়েই গেলো একদিন।
এরপর...
কিছুদিন আনন্দের জোয়ারে ভেসে যাওয়া... মাঝে মাঝে সাতরে কূলে ঊঠা। আবার অবগাহন। কুয়াকাটায় হানিমুন করে এলো।একটা কটেজে একটানা ৭২ ঘন্টা।
এরপর আবার সেই মিথ্যার বেপারী বনে যাওয়া। এখন দু’জন একসাথে প্র্যাকটিস করে। ধীরে ধীরে টাকাও জমতে থাকে। হুমায়রা খুব হিসেবীও বটে । সব দিক সামলে ও হেলালকে গুছিয়ে আনলো।
এতো সুখের ভিতরেও কোথায় যেন কি নেই মনে হত দু’জনের।
তিনটি বছর পার হলেও ওদের ঘরে কোনো সন্তান এলোনা। অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কিন্ত কোনো লাভ হলো না। আসলে হেলালেরই সমস্যা ছিল। এটা দু’জনেই জানতো। কিন্তু বৃদ্ধা মা’কে বুঝাবে কে। সারাদিন নাতী’র জন্য ঘ্যান ঘ্যান করে। আর বউকে বাজা মেয়েছেলে বলে। কথায় কথায় রাগ হয়। হুমায়রা এই বৃদ্ধাটিকে অনেক ভালবাসত। সে নীরবে সব সহ্য করে নেয়। সেতো আর টিপিক্যাল অন্য বউদের মতো নয়। সে একাধারে একজন টাকার খাক্কষ আবার মমতাময়ী এক নারী।
কিন্ত একজন মা হতে পারলো না!
নাপিতের ডাকে আধোঘুমের জগত থেকে বাস্তবে ফিরে এলো হেলাল। চেয়ার থেকে উঠে নিজেকে একটু আয়নায় দেখলো।
নাহ, ভালোই লাগছে।
চেহারা সুরত এখনো যে কারো নজর কাড়বে। মানি ব্যাগটা পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে সিএনজির দিকে এগিয়ে যায় হেলাল।
এখনো নাপিতের হাতের সুখানুভুতির রেশ রয়ে গেছে শরীরে।
টেক্সিতে ঊঠেই আবারো চোখ বোজে।
(ক্রমশঃ)
বিষয়: সাহিত্য
৯৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একরাশ ভাল লাগা আপনার জন্যে মামুন ভাই......।
একটি হারাম আমাদের চেতনায় এমনভাবে মিশে আছে যেন এটি হালাল। এ ব্যাপারে কারো কোনো বিকারই দেখছি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন